তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ কষ্টে দিন পার করছেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষ।

বেসরকারি চাকরিজীবী রাবেয়া সিদ্দিকা জানান, সকাল ৭টায় অফিসের জন্য বের হয়ে গাড়ি পাচ্ছেন না। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই এখনও গাড়ি বের করেননি। গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারে এক সবজি বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টায় বের হই। কিন্তু গত কয়েকদিন তীব্র শীতের কারণে আজ একটু দেরিতে বের হয়েছি। অথচ, আজ মনে হচ্ছে শীতের তীব্রতা আরও বেশি।

এ দিকে কনকনে শীতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।

শনিবার সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা ছাড়াও রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলেও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। উত্তরাঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তাই সেখানে শীতের তীব্রতা আরও বেশি।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নিকলি ও চুয়াডাঙ্গায়।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন